রাজশাহী থেকে অপহৃত সেই নারী চিকিৎসককে পাবনা থেকে উদ্ধার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
এ ঘটনায় জড়িত ৪জন আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
গতকাল বুধবার দুপুরে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) ১২ পাবনার কোম্পানি কমান্ডার মোহাম্মদ ইলিয়াস খান এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান।
পাবনা র্যাব ক্যাম্পে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি জানান, র্যাব-১২ এর অধিনায়ক অতিরিক্ত ডিআইজি মোঃ আতিকুর রহমান মিয়া, পিপিএম এর নির্দেশনায় র্যাব সদর দপ্তরের গোয়েন্দা শাখার সহযোগিতায় র্যাব-১২, সিপিসি-২ পাবনা ও র্যাব-৫, সিপিএসসি রাজশাহী র্যাবের একটি যৌথ আভিযানিক দল গত ৩১ ডিসেম্বর রাত ৮ টার দিকে পাবনা সদর থানার মনসুরাবাদ আবাসিক এলাকার একটি বাসায় অভিযান চালায়। পরে ঐ বাসা থেকে অপহৃত ডাঃ শাকিরা তাসনিমকে উদ্ধার করা হয়।
এসময় ঘটনার সাথে জরিত ৪ আসামীকে একটি মাইক্রোবাসসহ গ্রেফতার করা হয়েছে।
গ্রেফকতারকৃতরা হলেন, পাবনার সাঁথিয়া থানর বামনডাঙ্গা গ্রামের আবু হানিফ কাজীর ছেলে তানজিম খান তাজ ওরফে নিরব, সুজানগর থানর চর গোবিন্দপুর গ্রামের শহীদ মল্লিকের ছেলে মোঃ সেলিম মল্লিক, সিরাজগঞ্জ জেলার চৌহালি থানার বড়ংগাইল (দক্ষিন পাড়া) মোঃ সোলায়মান হোসেনের ছেলে মোঃ সজিব হোসেন এবং অপহরনের কাজে ব্যবহৃত মাইক্রোবাসের চালক পাবনার সুজানগর থানর বদনপুর গ্রামের মৃত আমিনউদ্দিন মিয়ার ছেলে মোঃ আশরাফুল ইসলাম।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি আরো জানান, সোমবার (৩০ ডিসেম্বর) ভোরে রাজশাহীর মহানগরীর চন্দ্রিমা আবাসিক এলাকা থেকে ডাঃ শাকিরা তাসনিমকে অপহরণ করা হয়। অপহৃত চিকিৎসক রাজশাহীর ইসলামী ব্যাংক মেডিকেল কলেজ থেকে সম্প্রতি ব্যাচেলর অব ডেন্টাল সার্জারি (বিডিএস) কোর্স শেষ করেছেন। তার বাবা পানি উন্নয়ন বোর্ডের অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা। তিনি পরিবার নিয়ে ঐ আবাসিক এলাকায় থাকেন। ঘটনার দিন ভোরে এই বাসা থেকেই বাবা-মেয়েকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে ওই চিকিৎসকের বাবাকে সিরাজগঞ্জের সলঙ্গা থানা এলাকায় ফেলে রাখে যায় অপহরণকারীরা।